মহান আলেকজান্ডার

ষোল বছর বয়স পর্যন্ত আলেকজান্ডার অ্যারিস্টটলের নিকট শিক্ষালাভ করেন। ৩৩৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দে, ম্যাসিডনের সিংহাসনে আরোহনের অল্প সময় পর তিনি বলকান অঞ্চলগুলোতে অভিযান শুরু করেন এবং থ্রেস ও ইলিরিয়ার ওপর ম্যাসিডোনিয়ার নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। এরপর তিনি থিবস শহরের দিকে অগ্রসর হন এবং পরবর্তী একসময় শহরটিকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেন। এরপর আলেকজান্ডারকে সমগ্র গ্রিসের সেনানায়ক মনোনীত করা হয়। তিনি এই ক্ষমতাবলে পারস্য আক্রমণে সকল গ্রিকদের নেতৃত্ব দেওয়ার মাধ্যমে তার পিতার পরিকল্পিত প্যান-হ্যালেনিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছিলেন।
৩৩৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তিনি হাখমানেশি পারস্যিক সাম্রাজ্য আক্রমণের মাধ্যমে তার ধারাবাহিক সামরিক অভিযান আরম্ভ করেন, যা ১০ বছর স্থায়ী ছিল। তার আনাতোলিয়া অভিযানের পর ইসাস ও গগ্যামিলাসহ কয়েকটি স্থানে অনুষ্ঠিত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে আলেকজান্ডার পারস্যের শক্তি বিনষ্ট করেন। এর ফলশ্রুতিতে তৃতীয় দারয়ূসকে ক্ষমতাচ্যুত করে সমগ্র হাখমানেশি সাম্রাজ্য জয় করেন।পারস্যের পতনের পর ম্যাসিডোনিয় সাম্রাজ্য আড্রিয়াটিক সমুদ্র থেকে সিন্ধু নদ পর্যন্ত বিস্তৃতি লাভ করে। "পৃথিবীর শেষপ্রান্ত ও মহা-বহিঃসমুদ্রে" পৌছনোর স্পৃহা নিয়ে় আলেকজান্ডার ৩২৬ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে ভারত অভিযান শুরু করেন এবং বিতস্তার লড়াইয়ে বর্তমান পাঞ্জাব শাসনকারী ভারতীয় রাজা পুরুর বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ বিজয় লাভ করেন। বাড়ি ফিরতে অধীর সৈন্যবাহিনীর দাবীর প্রেক্ষিতে তাকে বিপাশা নদীর পাড় থেকেই ফিরে যেতে হয়। ৩২৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মেসোপটেমিয়ার শহর ব্যবিলনে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ব্যবিলনকে তার সাম্রাজ্যের রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করেছিলেন। আলেকজান্ডারের মৃত্যুর ফলে তার পরিকল্পিত আরব উপদ্বীপে গ্রিক আক্রমণের মাধ্যমে শুরু করা বাণিজ্যিক ও সামরিক অভিযানগুলো আর বাস্তবায়িত হয়নি। তার মৃত্যুর পর বেশ কিছু বছর ধরে চলা পরপর কয়েকটি গৃহযুদ্ধের সূচনা হয়। এর ফলে ম্যাসিডোনিয় সাম্রাজ্য বিভিন্ন আলেকজান্ডারের সেনাপতিদের হাতে বিভিন্ন খন্ডে বিভক্ত হয়ে যায়। উইকিপিডিয়া দ্বারা উপলব্ধ
1
2