সরস্বতী (দেবী)

বাংলার একটি বাজার থেকে সরস্বতীর চিত্র (১৯শ শতাব্দী, ১৮৯৫ এর পূর্ববর্তী)। [[ব্রিটিশ গ্রন্থাগার|ব্রিটিশ লাইব্রেরির]] কিউরেটরের সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, "বিদ্যা ও জ্ঞানের দেবী সরস্বতী, একটি নদীর তীরে উপবিষ্টা। তার পা একটি পদ্ম ফুলের উপর স্থির, বেদের প্রতিনিধিত্বকারী একটি তাল পাতার পাণ্ডুলিপি তার পাশে রয়েছে এবং তিনি বীণা ধারণ করেছেন, একটি রাজহাঁস তার বাহন হিসেবে কাছাকাছি অবস্থান করছে।" সরস্বতী (সরস্বতি) (, ''সরস্ৱতী'', ) হিন্দু ধর্মের অন্যতম প্রধান দেবী এবং জ্ঞান, শিক্ষা, অধ্যয়ন, শিল্প, বাক্, কবিতা, সঙ্গীত, পরিশুদ্ধি, ভাষা ও সংস্কৃতির দেবী হিসেবে পূজিত হন। লক্ষ্মীপার্বতীর সঙ্গে তিনি ত্রয়ী গঠন করেন। সরস্বতী সর্বভারতীয় দেবী। তিনি শুধু হিন্দু ধর্মেই নয়, জৈনবৌদ্ধ ধর্মেও পূজিত হন।

তিনি বৈদিক যুগের অন্যতম প্রধান দেবী (খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ থেকে ৫০০), এবং পরবর্তী সময়েও হিন্দু ধর্মেও তার গুরুত্ব ধরে রেখেছেন। বেদে, তার বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলী সরস্বতী নদীর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত। নদীর সাথে সম্পর্কিত দেবী হিসেবে, সরস্বতী তার শুদ্ধিকরণ ও উর্বরতা বৃদ্ধির দ্বৈত ক্ষমতার জন্য পূজিত হন। পরবর্তী বৈদিক সাহিত্যে, বিশেষত ব্রাহ্মণ গ্রন্থগুলিতে, সরস্বতী ক্রমশ বৈদিক বাক্ দেবী বাকের সঙ্গে অভিন্ন হয়ে ওঠেন, এবং পরবর্তীতে এই দুই সত্তা একীভূত হয়ে একক দেবী হিসেবে পরিগণিত হন। সময়ের সাথে সাথে তার নদীর সাথে সম্পর্ক কমতে থাকে এবং বাক্, কবিতা, সঙ্গীত ও সংস্কৃতির সাথে সংযুক্তি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।

শাস্ত্রীয় ও মধ্যযুগীয় হিন্দু ধর্মে, সরস্বতী প্রধানত শিক্ষার, শিল্পের এবং কাব্যিক অনুপ্রেরণার দেবী হিসেবে স্বীকৃত, এবং সংস্কৃত ভাষার উদ্ভাবক হিসেবে গণ্য হন। তিনি সৃষ্টির দেবতা ব্রহ্মার সাথে হয় তার পত্নী হিসেবে অথবা তার সৃষ্টিরূপে যুক্ত। এই ভূমিকায়, তিনি তার শক্তি  উপস্থাপন করেন এবং বাস্তবতাকে একটি স্বতন্ত্র মানবিক বৈশিষ্ট্য প্রদান করেন। তিনি সেই বাস্তবতার মাত্রার সাথে যুক্ত হয়ে স্বচ্ছতা ও বৌদ্ধিক শৃঙ্খলাকে চিহ্নিত করে।

শাক্তধর্ম প্রথায় সরস্বতীকে সর্বোচ্চ দেবীর সৃজনশীল রূপ হিসেবে পূজা করা হয়। বৈষ্ণবমতে তিনি বিষ্ণুর অন্যতম পত্নী হিসেবে গণ্য হন এবং তার ঐশ্বরিক কর্মকাণ্ডে সহায়তা করেন। তবে, এই পুরুষ দেবতাদের সাথে সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও, সরস্বতী একটি স্বতন্ত্র দেবী হিসেবে সঙ্গী ছাড়াই পূজিত হন।

তিনি শান্ত ও দীপ্তিময় শুভ্র বর্ণের নারী হিসেবে চিত্রিত হন। তিনি সাদা পোশাক পরিহিত এবং সাদা পোশাক সত্ত্ব (পবিত্রতা ও কল্যাণ) গুণের প্রতীক। তার চারটি বাহু রয়েছে, এবং প্রতিটি হাতে একটি প্রতীকী বস্তু ধারণ করেন: একটি গ্রন্থ, একটি জপমালা, একটি কমণ্ডলু (জলপাত্র), এবং একটি বীণা নামক বাদ্যযন্ত্র। তার পাশে তার বাহন থাকে। বাহনটি হয় হংস (শ্বেত রাজহাঁস বা রাজহংস) অথবা একটি ময়ূর।

বিশ্বজুড়ে সরস্বতীর উদ্দেশ্যে নিবেদিত অনেকগুলি হিন্দু মন্দির রয়েছে। সেসবের মধ্যে কাশ্মীরে অবস্থিত শারদা পীঠ (৬ষ্ঠ–১২শ শতাব্দী) অন্যতম প্রাচীন মন্দির। সরস্বতী সমগ্র ভারতে বিশেষত তার নির্দিষ্ট উৎসব দিন, বসন্ত পঞ্চমীতে ব্যাপকভাবে পূজিত হন। বসন্তের এই পঞ্চম দিনটি ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে সরস্বতী পূজা ও সরস্বতী জয়ন্তী নামেও পরিচিত। এই দিনে শিক্ষার্থীরা তাকে জ্ঞান ও শিক্ষার অধিষ্ঠাত্রী দেবী হিসেবে সম্মান জানায়। ঐতিহ্যগতভাবে, এই দিনটি ছোট শিশুদের প্রথম বর্ণমালা লেখা শেখানোর মাধ্যমে চিহ্নিত হয়।

বৌদ্ধ ধর্মে, তিনি বিভিন্ন রূপে পূজিত হন। সেসবের মধ্যে একটি হল পূর্ব এশিয়ার বেনজাইতেন (辯才天, "বাক্ ও প্রতিভার দেবী")। জৈন ধর্মে, সরস্বতী তীর্থঙ্করদের উপদেশ ও বাণী প্রচারের দায়িত্বপ্রাপ্ত দেবী হিসেবে পূজিত হন। উইকিপিডিয়া দ্বারা উপলব্ধ
2
অনুযায়ী Saraswati
প্রকাশিত 1996
গ্রন্থ
3
অনুযায়ী SARASWATI
প্রকাশিত 2009
গ্রন্থ
4
অনুযায়ী SARASWATI
প্রকাশিত 2011
গ্রন্থ
5
অনুযায়ী SARASWATI
গ্রন্থ
6
অনুযায়ী SARASWATI
প্রকাশিত 2011
গ্রন্থ
7
অনুযায়ী Saraswati
প্রকাশিত 1985
গ্রন্থ
8
অনুযায়ী Saraswati
প্রকাশিত 1993
গ্রন্থ
9
অনুযায়ী Saraswati
গ্রন্থ
10
অনুযায়ী SARASWATI
প্রকাশিত 2009
গ্রন্থ
11
অনুযায়ী SARASWATI
প্রকাশিত 1982
গ্রন্থ
12
অনুযায়ী Saraswati
প্রকাশিত 1984
গ্রন্থ
13
অনুযায়ী SARASWATI
গ্রন্থ
17
অনুযায়ী Desi Saraswati
গ্রন্থ
18
অনুযায়ী Desi Saraswati
প্রকাশিত 2007
গ্রন্থ
19
অনুযায়ী Saraswati,Desi
প্রকাশিত 2007
গ্রন্থ
20
অনুযায়ী RISA Saraswati
প্রকাশিত 2019
গ্রন্থ